একটি নন-ফিকশন বই লেখা, যেটা সফল বেস্টসেলার হওয়ার সম্ভাবনা রাখে, বেশ বড় একটা কাজ – তবে চেষ্টা, কৌশলগত পরিকল্পনা, আর বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা থাকলে এটা সম্ভব। এখানে কিছু ধাপ দেওয়া হলো:

  1. এমন একটা টপিক বেছে নিন যেটা আপনার ভালো লাগে: বই লেখা একটা লম্বা প্রসেস, আর আপনি যদি টপিকটা পছন্দ করেন তাহলে এটা সহজ হবে।

  2. আপনার পাঠক কারা সেটা খুঁজে বের করুন: দেখে নিন আপনি যে টপিকটা বেছেছেন সেটা অন্যদেরও ভালো লাগে কিনা। মার্কেট রিসার্চ করে বের করুন আপনার সম্ভাব্য পাঠক কারা হতে পারে এবং তারা কীসে আগ্রহী।

  3. কিছু ভ্যালু দিন: পাঠকদের আপনার বইটা কেনার একটা কারণ দিন, অন্য বইগুলোর বদলে বা সাথে। আপনার টপিকের ওপর আর কী কী বই লেখা হয়েছে, সেটা জেনে আপনার বইটাকে আলাদা করার চেষ্টা করুন, যাতে এটা বিশেষ কিছু দেয়।

  4. একটা আউটলাইন তৈরি করুন: একটা ভালো বইয়ের গঠন ভালো হওয়া দরকার। কোন কোন পয়েন্ট আপনি বলতে চান, সেটা ঠিক করুন এবং সেগুলোকে একটা যুক্তিসঙ্গত অর্ডারে সাজান। এই আউটলাইনটা একটা রোডম্যাপের মতো কাজে দেবে।

  5. নিয়মিত লিখুন: এতে আপনার লেখার স্টাইলটা ধরে রাখতে সুবিধা হবে, আর যেখানে ছেড়েছিলেন সেখান থেকে আবার শুরু করতে বেশি সময় লাগবে না।

  6. প্রকৃত, বাস্তব অভিজ্ঞতা আর গল্প যোগ করুন: ছোট ঘটনা আর ব্যক্তিগত গল্প আপনার বইকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে, আর আপনি যা বোঝাতে চাইছেন সেটা আরও জোরালো হবে।

  7. আধুনিক, আকর্ষণীয় লেখার স্টাইল ব্যবহার করুন: নন-ফিকশন মানেই নীরস কিছু নয় – এটা ফিকশনের মতোই মজার হতে পারে। আর লেখাটা যাতে সহজে বোঝা যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।

  8. এডিট করুন, এডিট করুন, আর এডিট করুন: আপনার বইয়ের প্রথম ড্রাফট মানে শুধু একটা প্রথম ড্রাফট। নিজের কাজ দেখুন, দুর্বল জায়গাগুলো ঠিক করুন, আর ভুলত্রুটি আছে কিনা দেখার জন্য কয়েকবার ধরে ভালো করে পড়ুন।

  9. ফিডব্যাক নিন: অন্যদের আপনার পান্ডুলিপি পড়তে দিন এবং তাদের মতামত বিবেচনা করুন।

  10. আপনার বইয়ের প্রচার করুন: বেস্টসেলার হতে গেলে লোকেদের জানতে হবে আপনার বই বেরিয়েছ। এটা সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, ইন্টারভিউ, বই পড়া, বা বই সই করার ইভেন্টের মাধ্যমে হতে পারে।

মনে রাখবেন, সব বেস্টসেলার বই দ্রুত জনপ্রিয় হয় না। আপনার বইয়ের জনপ্রিয়তা পেতে সময় লাগতে পারে, তাই হতাশ হবেন না যদি সঙ্গে সঙ্গে না হয়। লিখতে থাকুন আর উন্নতি করতে থাকুন।