টেলিপ্যাথি, পরিচিত ইন্দ্রিয়গুলো বাদ দিয়ে অন্য কোনো উপায়ে চিন্তা বা ধারণা আদান প্রদানের ক্ষমতা, এটাকে বাস্তবতার চেয়ে সায়েন্স ফিকশন বলাই ভালো। সত্যি বলতে, যদিও মন থেকে মনে যোগাযোগ অনেক ফ্যান্টাসি আর সায়েন্স ফিকশনে দেখা যায়, মানুষের মধ্যে টেলিপ্যাথি আছে এমন কোনো শক্ত প্রমাণ এখন পর্যন্ত নেই।

তবে, অনেকে এই আইডিয়াটা নিয়ে খুব আগ্রহী, এবং এইরকম একটা যোগাযোগ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল টেকনিক আর প্র্যাকটিস করে থাকে। এর মধ্যে মনোযোগ, মেডিটেশন, আর মাঝে মাঝে তথাকথিত সাইকিক মাইন্ড প্র্যাকটিসও থাকে। তবে এটা মনে রাখা জরুরি যে এই মেথডগুলোর কোনোটা দিয়েই যে টেলিপ্যাথি হয়, তা বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারেনি।

অন্যদিকে, নিউরোসায়েন্স আমাদের এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করার ব্যাপারে সাবধান করে। মানুষের মন আর এর জটিলতা সম্পর্কে আমাদের যা ধারণা, তা এখনো পর্যন্ত অসম্পূর্ণ। চিন্তা আদান-প্রদান ব্যাপারটা দারুণ হলেও, এটা আসলে চেতনা, উপলব্ধি, আর বাস্তবতার প্রকৃতির মতো উত্তর না জানা প্রশ্নগুলোর সাথে জড়িয়ে আছে।

মোটামুটিভাবে, আমাদের কমিউনিকেশন স্কিল আর ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বাড়ানোটা বেশি কাজের – আর সহজও বটে। অন্য একজনের অনুভূতি, চিন্তা, আর দৃষ্টিভঙ্গি বোঝাটাও এক ধরনের ‘মনের খবর নেওয়া’, কিন্তু এটা পুরোপুরি সম্ভব – এবং একইরকম впечатляющее।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, আমরা হয়তো সায়েন্টিফিক্যালি ট্রেডিশনাল অর্থে ‘টেলিপ্যাথি’ করতে পারি না, কিন্তু আমরা অবশ্যই সহানুভূতি, বোঝাপড়া, আর যোগাযোগের মাধ্যমে একে অপরের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করতে পারি। আর কে জানে, ভবিষ্যতে সায়েন্টিফিক ব্রেকথ্রু আর মানুষের মন সম্পর্কে নতুন ধারণা কী নিয়ে আসে!

এখনকার মতো, ‘টেলিপ্যাথি কিভাবে?’ প্রশ্নের উত্তর এটাই: আমরা এখনো আবিষ্কার করতে পারিনি।