ব্রেক্সিটের সুবিধা নিয়া প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া কঠিন, কারণ এটা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে, মানে সুবিধাগুলো কে কিভাবে দেখছে তার উপর। এখানে কয়েকটা সম্ভাব্য সুবিধা দেওয়া হল:
-
বাণিজ্য চুক্তি: ইউকে এখন নিজের বাণিজ্য নীতি আর চুক্তি তৈরি করতে পারবে। তারা আর ইইউ-এর সাধারণ বাহ্যিক শুল্কের বাধ্যবাধকতাতে নাই, তাই ইইউ-এর বাইরের দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যের বাধা কমতে পারে।
-
অভ্যন্তরীণ নীতি: ব্রেক্সিট অভ্যন্তরীণ নীতিগুলোর উপর আরও বেশি স্বাধীনতা দেয়, যেমন কৃষি, মৎস্য এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ।
-
বাজেটে অবদান: ইউকে আর ইইউ-এর বাজেটে টাকা দিবে না, মানে এই টাকাটা দেশের ভেতরে খরচ করা যেতে পারে বা ট্যাক্স কমানো যেতে পারে।
-
সার্বভৌমত্ব: ব্রেক্সিটের একটা মূল কারণ ছিল দেশের আইনের উপর সার্বভৌমত্ব বা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া, যেটা অনেকের মনে হয়েছিল ইইউ কমিয়ে দিচ্ছিল।
তবে, এটা মনে রাখা দরকার যে এই সুবিধাগুলোর সাথে কিছু সমস্যাও আছে, আর এর ফলাফল ভিন্ন হতে পারে।
যেকোনো অর্থনৈতিক পরিবর্তন বা নীতির পরিবর্তনের মতো, দৃষ্টিভঙ্গি এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ হয়তো ব্রেক্সিটকে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও বেশি স্বাধীনতা আর মুক্তির পথে একটা জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখতে পারে, আবার কেউ হয়তো এটাকে কম অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আর বেশি অনিশ্চয়তার দিকে যাওয়া হিসেবে দেখতে পারে। আসল কথা হল, মনে রাখতে হবে যে সব অর্থনীতি একে অপরের সাথে জড়িত, তাই ব্রেক্সিটকে আলাদা করে বিচার করা যাবে না।