ডিজিটাল প্রযুক্তি ও অনলাইন সার্ভিসের বাড়বাড়ন্তের সাথে সাথে স্ক্যামাররা আরও চালাক হয়ে উঠছে, তাই স্ক্যাম চেনাটা খুব দরকার। নিজেকে বাঁচানোর উপায় এখানে দেওয়া হলো:

১. যা বিশ্বাস করা কঠিন:

সাধারণত, কোনো অফার খুব ভালো মনে হলে, সেটাই স্ক্যাম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ‘ফ্রি’ অফার, বেশি রিটার্নের ইনভেস্টমেন্ট, লটারি জেতা, আর যে ডিলগুলোতে তাড়াতাড়ি কিছু করতে বলা হয়, সেগুলো নিয়ে একটু সন্দেহ করো।

২. পেমেন্ট বা ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া:

স্ক্যামাররা এমনভাবে পেমেন্ট করতে বলতে পারে, যেটা খুঁজে বের করা কঠিন, যেমন - ওয়্যার ট্রান্সফার বা গিফট কার্ড। এছাড়া তোমার সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর বা ব্যাঙ্ক ডিটেইলসের মতো জরুরি তথ্যও চাইতে পারে।

৩. বানান ও গ্রামারের ভুল:

ইমেল বা মেসেজে খারাপ গ্রামার, বিদঘুটে শব্দ আর বানানের ভুল দেখলে বুঝবে এটা স্ক্যাম হতে পারে। কারণ, অফিসিয়াল কমিউনিকেশনগুলো খুব ভালোভাবে দেখাশোনা করার পরেই পাঠানো হয়।

৪. অপ্রত্যাশিত যোগাযোগ:

যদি কোনো কল, ইমেল বা টেক্সট পাও যেটা তুমি আশা করছ না - বিশেষ করে এমন কোনো জায়গা থেকে যেটা তুমি চেনো না - তাহলে এটা স্ক্যাম হতে পারে।

৫. ভয়ের মেসেজ ও হুমকি:

স্ক্যামাররা প্রায়ই সরকারি সংস্থা বা ব্যবসার পরিচয় দিয়ে ভয় দেখায় যে টাকা জরিমানা হবে, টাকা, সুযোগ-সুবিধা বা পরিষেবা সব চলে যাবে। তারা তোমাকে ভয় দেখিয়ে তথ্য বা পেমেন্ট দিতে বাধ্য করতে পারে।

৬. ভুল ইউআরএল বা নন-সিকিওর সাইট:

ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলো প্রায়ই আসল ওয়েবসাইটের মতোই দেখতে হয়। সবসময় ইউআরএলে ‘https://’ আছে কিনা দেখবে এবং একটা তালা চিহ্নের জন্য খুঁজো - এগুলো থাকলে বোঝা যায় সাইটটা সুরক্ষিত।

৭. গরমিল:

যেমন, তুমি কোনো জিনিস অর্ডার করোনি অথচ সেটা ডেলিভারি হয়ে গেল, অথবা এমন ক্রেডিট কার্ডের বিল পেলে যেটা তুমি খোলোইনি - এগুলো স্ক্যামের লক্ষণ হতে পারে।

নিজের ব্যক্তিগত তথ্য বা টাকা দেওয়ার সময় খুব সাবধান থেকো। মনে রেখো, স্ক্যামাররা চায় তুমি না ভেবেই কাজটা করে ফেলো, যাতে অন্যদের সাথে পরামর্শ করার সময় না পাও। নিজের instincts-এর উপর ভরসা রাখো, আর সন্দেহ হলে অবশ্যই কারো থেকে পরামর্শ নাও।