পোষ্যদের সাজানো আজকাল খুব জনপ্রিয় একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য হোক, কিংবা ছুটির দিনের আমোদ, অথবা শুধুই মজার জন্য, তোমার পোষ্যটির সুরক্ষা আর আরাম নিশ্চিত করাটা খুব জরুরি। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো:
-
প্রথমেই নিরাপত্তা:
- খেয়াল রেখো কস্টিউম বা পোশাকে যেনো ছোটোখাটো জিনিস না থাকে যেগুলো সহজেই খুলে বা চিবিয়ে গিলে ফেলতে পারে। খুব টাইট ব্যান্ড বা ফিতে দেখলে অবশ্যই খেয়াল রাখবে, কারণ সেগুলো শ্বাসরোধের কারণ হতে পারে।
-
আরামটাই আসল:
- দেখে নিতে হবে পোশাকটা পরে যেনো তার নড়াচড়া করতে অসুবিধা না হয়। তোমার পোষ্যটি যেনো আরামে হাঁটতে, বসতে, দাঁড়াতে আর শুতে পারে।
-
ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করো:
- যদি তোমার পোষ্য প্রথমবার জামাকাপড় পরে, তাহলে প্রথমে একটা সাধারণ ব্যান্ডেনা দিয়ে শুরু করো। ধীরে ধীরে আরও জমকালো পোশাক পরাতে পারো।
-
ইতিবাচক উৎসাহ:
- পোশাক বা কস্টিউমের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার জন্য ট্রিট আর প্রশংসা ব্যবহার করো।
-
তাপমাত্রাটা মাথায় রেখো:
- আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করো। গরমকালে মোটা সোয়েটার পরানো যেমন উচিত না, তেমনই ঠান্ডার দিনে পাতলা টি-শার্ট তেমন সুরক্ষা দেবে না।
-
তোমার পোষ্যের স্বভাবটা দেখো:
- কিছু পোষ্য আছে যারা সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে ভালোবাসে এবং তারা সাজতে পছন্দ করে, আবার কিছু পোষ্য এতে চাপ অনুভব করতে পারে। সবসময় তোমার পোষ্যের ভালো থাকাকে প্রাধান্য দেবে।
-
কম সময়েই শেষ করো:
- যদি না পোশাকটা কোনো কাজের হয়, যেমন রেইনকোট বা ঠান্ডার জন্য সোয়েটার, তাহলে সাজগোজের পর্বটা কম রাখাই ভালো।
-
ফটোসেশন:
- যদি তুমি তোমার পোষ্যকে ছবি তোলার জন্য সাজাও, তাহলে পোশাক পরানোর আগে সবকিছু গুছিয়ে নাও। এতে তাদের বেশিক্ষণ পোশাক পরে থাকতে হবে না।
-
পিছু হটতে প্রস্তুত থেকো:
- যদি তোমার পোষ্য অস্থির বা অস্বস্তি বোধ করে, অথবা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পোশাক খুলে দাও।
-
নিয়মিত দেখো:
- যদি তোমার পোষ্য নিয়মিত পোশাক পরে, যেমন ঠান্ডার দেশে, তাহলে প্রায়ই দেখতে থাকো যে কোনো রকম অস্বস্তি বা সমস্যা হচ্ছে কিনা।
মনে রেখো, তোমার পোষ্যকে সাজানো মজার হলেও, এটা নিশ্চিত করা দরকার যে তোমার লোমশ বন্ধুটি যেনো আরামদায়ক আর নিরাপদে থাকে। তাদের ভালো থাকাকে সবসময় সাজসজ্জার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে।