নিজের বুদ্ধি এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বাড়ানো মানসিক ব্যায়াম এবং শারীরিক সুস্থতার একটা সমন্বয়। বংশগতি মানুষের সম্ভাবনা নির্ধারণে ভূমিকা রাখলেও, যে কেউ তাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। এখানে কিছু কৌশল বিবেচনা করার মতো:
-
জীবনব্যাপী শিক্ষা:
- শেখা কখনও বন্ধ করো না। কোর্স করো, বই পড়ো বা নতুন শখ খুঁজে নাও। ক্রমাগত নিজের মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করলে নিউরোপ্লাস্টিসিটি এবং মস্তিষ্কের বিকাশ হতে পারে।
-
শারীরিক ব্যায়াম:
- নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ পুরো শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, যার মধ্যে মস্তিষ্কও রয়েছে। এটা জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বাড়াতে পারে এবং এমনকি নতুন নিউরন তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারে।
-
ধ্যান:
- মনোযোগ এবং ধ্যান স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা এবং জ্ঞানীয় নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
-
স্বাস্থ্যকর খাবার:
- ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ সুষম খাবার গ্রহণ করো, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
-
ভালো করে ঘুমানো:
- ভালো ঘুম স্মৃতি একত্রীকরণের জন্য এবং মস্তিষ্কের সামগ্রিক কার্যকলাপের জন্য খুবই জরুরি। প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করো।
-
মনোযোগ বিক্ষেপকারী জিনিস কমানো:
- একবারে একটা কাজের ওপর মনোযোগ দাও। মাল্টিটাস্কিং মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং উৎপাদনশীলতাও কমিয়ে দেয়।
-
মস্তিষ্ক-প্রশিক্ষণমূলক কাজে নিযুক্ত থাকা:
- ধাঁধা, গেম এবং অন্যান্য মস্তিষ্ক-প্রশিক্ষণমূলক অ্যাপ বিভিন্ন জ্ঞানীয় দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
-
সামাজিকভাবে যুক্ত থাকা:
- সামাজিক মেলামেশা মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে এবং একাকিত্ব ও হতাশার অনুভূতি দূর করতে পারে।
-
মানসিক চাপ কমানো:
- দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ব্যায়াম, ধ্যান অথবা বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে সমর্থন চাওয়ার মতো উপায় খুঁজে বের করো।
-
অ্যালকোহল সীমিত করা এবং মাদক দ্রব্য পরিহার করা:
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা মাদক দ্রব্য সেবন জ্ঞানীয় কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং মস্তিষ্কের সামগ্রিক স্বাস্থ্য খারাপ করে দেয়।
-
কৌতূহলী থাকা:
- প্রশ্ন করো, নতুন জায়গা আবিষ্কার করো এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাও। একটি কৌতূহলী মন সবসময় সক্রিয় থাকে।
“স্মার্ট” হওয়ার ধারণাটা ব্যক্তিগত এবং বহুমাত্রিক হতে পারে, তবে ক্রমাগত উন্নতি, শিক্ষা এবং সুস্থতার ওপর মনোযোগ দিলে জীবনের মান এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বাড়ানো যেতে পারে।