উচ্চ রক্তচাপ, বা হাইপারটেনশন, আজকাল একটা সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটা কন্ট্রোল করার জন্য অনেক ওষুধ থাকলেও, প্রাকৃতিক আর স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল হ্যাবিটগুলোও কিন্তু দারুণ কাজে দিতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে ব্লাড প্রেসার কমানোর কিছু কার্যকরী উপায় এখানে দেওয়া হল:
-
নিয়মিত ব্যায়াম: রুটিনে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি যোগ করলে ব্লাড প্রেসার বেশ খানিকটা কমানো যায়। সপ্তাহে প্রায় ১৫০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম, অথবা ৭৫ মিনিট জোর কদমে ব্যায়াম করার চেষ্টা করো।
-
স্বাস্থ্যকর খাবার: এমন একটা ডায়েট ফলো করো যেখানে শস্য, ফল, সবজি আর চর্বি ছাড়া প্রোটিন বেশি থাকে, তাহলে ব্লাড প্রেসার কমবে। ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্য ডায়েটারি অ্যাপ্রোচ টু স্টপ হাইপারটেনশন (DASH) ডায়েট খুব কাজের।
-
সোডিয়াম কম খাওয়া: বেশি সোডিয়াম খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারে। প্রসেসড ফুড কম খাও আর খাবারের লেবেল দেখে সোডিয়ামের পরিমাণ জেনে নেওয়ার চেষ্টা করো।
-
অ্যালকোহল কম: অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল খেলে ব্লাড প্রেসার কমতে পারে, তবে বেশি খেলে উল্টো ফল হতে পারে। চেষ্টা করো অ্যালকোহলের পরিমাণটা যেন লিমিটের মধ্যে থাকে।
-
ধূমপান ছাড়া: ধূমপান করলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে আর রক্তনালীগুলোর ক্ষতি হয়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান ছেড়ে দিলে ব্লাড প্রেসার কমবে আর তোমার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
-
ক্যাফিন কমাও: ব্লাড প্রেসারে ক্যাফিনের ভূমিকা নিয়ে এখনো অনেক debate আছে। সবচেয়ে ভালো হয় ক্যাফিন কম খেলে। আর কফি বা চা খাওয়ার ৩০ মিনিট পর ব্লাড প্রেসার মেপে দেখতে পারো যে প্রেসার বাড়ছে কিনা।
-
দুশ্চিন্তা কমাও: সবসময় স্ট্রেসে থাকলে ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারে। দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য হেলদি উপায় খুঁজে বের করো, যেমন মাইন্ডফুলনেস আর মেডিটেশন করতে পারো।
-
ওজন কন্ট্রোলে রাখো: বেশি ওজন হলে ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারে। তাই নিজের উচ্চতা আর বয়সের সাথে মানানসই ওজন রাখার চেষ্টা করো।
-
নিয়মিত ব্লাড প্রেসার মাপো: ব্লাড প্রেসার নিয়মিত মাপলে কোনো পরিবর্তন নজরে এলে আগে থেকেই অ্যালার্ট হওয়া যায় আর প্রেসার কন্ট্রোলে রাখা যায়।
-
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, তাই এটা মারাত্মক আকার না নেওয়া পর্যন্ত বোঝাও যায় না। নিয়মিত চেক-আপ করালে এটা তাড়াতাড়ি ধরা পড়তে পারে আর কন্ট্রোল করাও সহজ হয়।
এই লাইফস্টাইল পরিবর্তনগুলো তোমাকে প্রাকৃতিকভাবে ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে লাইফস্টাইল বা ডায়েটে কোনো বড় পরিবর্তন করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলা ভালো, বিশেষ করে যদি আগে থেকে কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে।