ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ, তবে কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে অনেক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এখানে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হল যা আপনি নিতে পারেন:

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

ফল, সবজি, শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য আপনার শরীরকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার সীমিত করুন এবং চিনি ও লবণ কম খান।

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুষম খাবারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মাঝারি অ্যারোবিক কার্যকলাপ যেমন দ্রুত হাঁটার লক্ষ্য রাখুন।

তামাক ব্যবহার করবেন না

তামাক ব্যবহার ফুসফুস, মুখ, গলা, অগ্ন্যাশয় এবং কিডনি ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের একটি প্রধান কারণ। ধূমপান ত্যাগ করলে আপনার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

অ্যালকোহল সীমিত করুন

অ্যালকোহল একটি পরিচিত কার্সিনোজেন, তাই এর ব্যবহার সীমিত করাই ভালো। পুরুষদের দিনে দুইটির বেশি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং মহিলাদের দিনে একটির বেশি পান করা উচিত নয়।

নিজেকে সূর্যের থেকে রক্ষা করুন

সূর্যের অতিরিক্ত এক্সপোজার ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে মারাত্মক মেলানোমাও রয়েছে। কমপক্ষে ৩০ এসপিএফ যুক্ত একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, পোশাক দিয়ে শরীর ঢেকে রাখুন এবং যখনই সম্ভব ছায়া খুঁজে নিন।

টিকা নিন

কিছু টিকা দেওয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিন বেশিরভাগ জরায়ু ক্যান্সার এবং অন্যান্য ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

নিয়মিত চিকিৎসা সেবা

নিয়মিত চেক-আপ এবং স্ক্রিনিং কিছু ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে, যখন তাদের চিকিৎসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিভিন্ন স্ক্রিনিং পরীক্ষা বুঝুন এবং আপনার ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য কোনটি সেরা তা নিয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন।

মনে রাখবেন, এই পদক্ষেপগুলি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারলেও, এটি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে পারবে না। নিয়মিত চেক-আপ এবং প্রাথমিক সনাক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীরের কথা শোনা এবং কোনো পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া জানানো ক্যান্সার প্রতিরোধের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।