ভাবছেন আপনার ডিম খারাপ (নষ্ট) হয়ে গেছে কিনা তা কিভাবে বুঝবেন? ডিমগুলো খাওয়ার জন্য সতেজ ও নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আপনি কয়েকটি সহজ পরীক্ষা করতে পারেন:

ডিমের জন্য ফ্লোট টেস্ট

সবচেয়ে বেশি প্রস্তাবিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি হল ফ্লোট টেস্ট। শুধু একটি পাত্রে ঠান্ডা জল ভরে ডিমটি আলতো করে জলের মধ্যে রাখুন।

  • যদি ডিম ডুবে যায়, তাহলে এটি এখনও সতেজ আছে।
  • যদি ডিমটি নীচে খাড়া হয়ে থাকে, তাহলে এটি তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া উচিত, কারণ এটি পুরনো হচ্ছে কিন্তু এখনও খাবার যোগ্য।
  • যদি ডিমটি ভাসে, তাহলে এটি খারাপ হতে পারে এবং খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।

চাক্ষুষ পরিদর্শন

ডিমটি বাটিতে না ভেঙে একটি সমতল প্লেটে ভাঙুন। এর ফলে আপনি পুরো ডিমটি দেখতে পাবেন। যা দেখবেন:

  • বর্ণহীনতা: ডিমের সাদা অংশ বা কুসুমে যদি গোলাপি, সবুজ বা কালো আভা থাকে, তাহলে ডিমটি ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত হতে পারে।
  • কুসুমের চেহারা: একটি সতেজ ডিমের কুসুম উত্তল, গম্বুজ আকারের হয়। যদি এটি চ্যাপ্টা হয়, তাহলে সম্ভবত ডিমটি অনেক দিন ধরে পড়ে আছে।

গন্ধ পরীক্ষা

ডিমের সতেজতা নিয়ে আপনার নাক উঁচিয়ে আছেন? তাহলে আপনার নাককে কাজে লাগান। একটি বিশ্রী পচা গন্ধ সাধারণত ডিম খারাপ হয়ে যাওয়ার নিশ্চিত লক্ষণ।

ডিমের কোড পরীক্ষা করা

বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হওয়া ডিমগুলোতে প্রায়ই একটি ‘প্যাক করার’ তারিখ stamped করা থাকে। এই তারিখটি হল তিন অঙ্কের কোড, যা বছরের ধারাবাহিক দিন বোঝায়, 001 (১লা জানুয়ারি) থেকে 365 (৩১শে ডিসেম্বর) পর্যন্ত। ডিমগুলো সাধারণত সেই তারিখ থেকে ৪-৫ সপ্তাহের মধ্যে খাওয়ার জন্য ভালো থাকে।

মনে রাখবেন, যখন সন্দেহ হয়, ফেলে দিন! এটা খাদ্যজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

ডিমের সতেজতা রান্নার সময় এর আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ডিম যত পুরনো হবে, তা সেদ্ধ করার পরে খোসা ছাড়ানো তত সহজ হবে। ডিমের সতেজতা পরীক্ষা করা আপনার রান্না ও বেকিংয়ের প্রচেষ্টাকে আরও সফল করতে পারে, এবং এটি রান্নাঘরের নিরাপত্তার একটি অপরিহার্য অংশ।